ভূ-রাজনীতি বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে দেশীয় বাজারে অন্যান্য পণ্যের সাথে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। আজকের এই আর্টিকেলে মাধ্যমে যেনে নিন আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত।
দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম দেশের বাজারে পূর্বের তুলনা কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত
পণ্যের নাম | পূর্বের মূল্য | বর্তমান মূল্য |
অকটেন | ১৩১ টাকা | ১২৫ টাকা |
পেট্রোল | ১২৭ টাকা | ১২১ টাকা |
ডিজেল | ১০৬ টাকা | ১০৫ টাক |
কেরোসিন | ১০৫ টাকা | ১০৫ টাকা |
আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর তথ্য অনুসারে দেশীয় বাজারে প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে কমে ১২১ টাকা, ডিজেলের ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমে ১০৫ টাকা এবং কেরোসিন ১০৫ ধরে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দামের বর্তমান অবস্থা
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। ২০২৪ সালে নভেম্বরের প্রথম তারিখে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতিনিয়ত ওটা নামা করছে।
যার ফলে বিশ্ববাজারে আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত। সেই ক্ষেত্রে ওপেক এর তথ্য অনুসারে আজকের জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মার্কিন ডলারের মধ্যে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম এর কাছাকাছি অবস্থান করছে।
তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তেলের দাম নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম উর্ধগতি থাকলে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দামও বাড়তি থাকে।
জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামার কারণ
আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত এবং জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামার কারণ কি? জ্বালানি তেলের দাম পরিবর্তন এর পিছনে বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণ কাজ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো জ্বালানির চাহিদা ও যোগান, অর্থনীতিক মন্দা বা উন্নয়ন, মুদ্রার মান, এবং ওপেক এর সিদ্ধান্ত।
জ্বালানির চাহিদা ও যোগান, অর্থনীতিক মন্দা বা উন্নয়ন, মুদ্রার মান, এবং ওপেক এর সিদ্ধান্ত এই বিষয় গুলো কিভাবে জ্বালানি খ্যাত কে প্রভাবিত করে।
জ্বালানির চাহিদা ও যোগান
জ্বালানি তেলের মূল্য পরিবর্তনের পেছনে চাহিদা ও যোগান কিভাবে কাজ করে। দেশের বাজারে তেলের চাহিদা যদি বেশি থাকে এবং জ্বালানি তেলের যোগান যদি কম থাকে তাহলে জ্বালানি তেলের দাম দেশের বাজারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তাছাড়া আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত তাও নির্ভর করে থাকে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা এবং সরবারাহের ভারসামের ওপর। যেমন কোন অঞ্চলে যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তেলের সরবাহ কমে গেলে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অর্থনৈতিক মন্দা বা উন্নয়ন
আমাদের দেশে ক্রমাগত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের অর্থনৈতিকে প্রভাবিত করে থাকে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা তেলের দামের পরিবর্তনের পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক মন্দায় তেলের চাহিদা কমে গিয়ে দাম কমে যেতে পারে। আবার উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে।
মুদ্রার মান
বিশ্ববাজারে সাধারণত জ্বালানি তেল ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে ডলারের কেনাবেচা হয়ে থাকেন। আমাদের দেশের মুদ্রার তুলনা ডলারের মান বৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। কেননা ডলারের বিপরীতে জ্বালানি তেলের ক্রয়বিক্রয় কার্য সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনে জ্বালানি তেলে মূল্য বা আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে থাকে মুদ্রার মান এর ওপর।
ওপেক এর সিদ্ধান্ত
ওপেক হলো তেল উৎপাদক দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তাই এই সংগঠন এর সিদ্ধান্ত মুতাবিক তেল উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। যা সরাসরি বিশ্ববাজারের ওপর তেলের মূল্যের প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের ভূমিকা
বাংলাদেশের অর্থনীতি জ্বালানি তেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। পরিবহন খ্যাত থেকে শুরু করে কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্প খ্যাত সব কিছু-তেই জ্বালানি তেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অধিক। তাই জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সেই ক্ষেত্রে জ্বালানি সাশ্রয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপ্রয়োজনে জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে খরচ কমানো সম্ভব হবে।
পরিশেষে বলা যায় জ্বালানি তেল আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, যা সাশ্রয় করা আমাদের দায়িত্ব। আর আজকের জ্বালানি তেলের দাম কত বা প্রতিদিনের জ্বালানি তেলের মূল্যের আপডেট পেতে আমাদের পেইজে ভিজিট করুন।
আরো পড়ুন : আজকের ব্রয়লার মুরগির দাম কত